জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
তাঁর শাস্তি নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক নিয়মিত সভায় ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দেওয়া হয়। সিন্ডিকেট তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিন্ডিকেটের সদস্যরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লুৎফুল কবীরের পিএইচডি অভিসন্দর্ভ নিয়ে ওঠা চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন করা হয়। তদন্ত কমিটি চৌর্যবৃত্তির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে। লুৎফুল কবীরের শাস্তি নির্ধারণে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন মো. রহমত উল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দিয়েছে সিন্ডিকেট। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ জানুয়ারি ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বিভিন্ন পত্রিকায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় লুৎফুল কবীরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে কমিটি করে দেয় সিন্ডিকেট।